কাপাসিয়ায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্ণয় ও প্রতিকার নিয়ে কর্মশালা
কাপাসিয়া প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কাপাসিয়ায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার নির্ণয় ও প্রতিকার নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা টোক ইউনিয়নের কাঁশেরা গ্রামে শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক নারীদের বিনামূল্যে জরায়ুমুখ ক্যান্সার পরীক্ষা করা হয় এবং তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৪ আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সিমিন হোসেন রিমি। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বিভাগীয় প্রধান মেডিকেল অনকোলজিস্ট ও জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতার। কর্মশালায় নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার সচেতনতামূলক আলোচনা পরামর্শ ও বিধি-নিষেধ প্রদান করা হয়। যেন জরায়ুমুখ ক্যান্সার থেকে রক্ষা এবং মুক্ত থাকা যায়।
টোক ইউনিয়নের নয়াসাঙ্গুর গ্রামের শামসুন্নাহার বলেন, আমার জরায়ুমুখে সমস্যা রয়েছে। তা বুঝতে পারছি। তাই আজ এখানে এসেছি তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে। ডাক্তাররা আমাকে দেখে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ের রিপোর্টে জানাযাবে কি হয়েছে। খুব ধীরে ধীরে সৃষ্টি হওয়া এক রোগ। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে জরায়ুমুখে স্বাভাবিক কোষ পরিবর্তিত হতে থাকে। একসময় তা ক্যান্সারে রূপ নেয়। তখন বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় যেমন পানির মত স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, রক্তক্ষরণ, জ্বর, নিচের পেটে ও কোমরে ব্যথা খাবারের রুচি কমে যাওয়া এবং দুর্বলতা। যথাসময়ে চিকিৎসা না হলে এক রোগ দূরের অঙ্গে ছড়িয়ে যায়। রোগ তখন আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
প্রধান অতিথি সিমিন হোসেন রিমি বক্তব্য বলেন, সময় মত রোগ চিহ্নিত করা গেলে তা সহজে নিরাময় করা সম্ভব। আমাদের গ্রামের মা বোনেরা স্বামী সন্তান আর সংসারের চিন্তা করে নিজেদের নিয়ে ভাবেন না। যখন ভাবেন তখন আর কিছুই করার থাকেনা। নিজেদের ভালো মন্দের দিকে নজর দিতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খান উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সেলিম। চিকিৎসা প্রদান করেন নিউরো ডেভলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টিং বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম রব্বানী, ডা. সাবিনা করিম ও শান্তি ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের জমিদাতা সদস্য মোহাম্মদ তাজউদ্দীন আহমেদ। শেষে প্রধান অতিথি ফাউন্ডেশন চত্বরে একটি আমলকির চারা গাছ করেন।