কাপাসিয়ায় বাস-সিএনজি সংঘর্ষে দুই জন নিহত, আহত-৩
কাপাসিয়া (গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ কাপাসিয়া উপজেলাধীন তরগাঁও ইউনিয়নের উরুন মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সামনে আজ বিকালে ঢাকা-কাপাসিয়া-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে বুধবার বিকেলে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় চালকসহ অপর তিন জন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলো, সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আবুল কাশেম (৬৮)। তিনি গাজীপুর মহানগরী এলাকার মো. সফিউল্লাহর ছেলে। মো. হাবিবুর রহমান হাবু। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার বরশিপুরা গ্রামের মৃত মো. হোসেন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কিশোরগঞ্জ থেকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি সিএনজি অটোরিকশার (কিশোরগঞ্জ-থ-১১-৩০৫০) বুধবার বিকেলে কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের উরুন মধ্যপাড়া এলাকায় পৌছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিশোরগঞ্জগামী উজানভাটি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১২০১৪২) এর সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি ধুমরে মুচরে রাস্তার পাশে সিটকে পড়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আবুল কাশেম মারা যান। পরে স্থানীয় লোকজন আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক মো. হাবিবুর রহমান হাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতরা হলো, সিএনজি অটোরিকশার চালক কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের কাজলা গ্রামের আঃ সাহিদের ছেলে মো. হৃদয় (৩০), একই উপজেলার কল্লা এলাকার মো. আমানউল্লাহর ছেলে মো. রমজান আলী (৫০) ও যাত্রী খালিয়াজুড়ির পাঁচহাট গ্রামের নাজিল হকের ছেলে মো. জাকারিয়া (২৯)। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মো. রমজান আলীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ঘটনার পর স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।