কাপাসিয়ায় টনসিল অপারেশনে মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
কাপাসিয়া প্রতিনিধিঃ
কাপাসিয়া উপজেলার আমরাইদ নিউ পপুলার হসপিটালে চিকিৎসা নিতে আসা আলমগীর হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আলমগীর উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদূর্লভখা গ্রামের ক্ষুদ্র তরকারি ব্যবসায়ী আনোয়ারের বড় ছেলে।
আলমগীরের স্বজনরা জানান, গতকাল সকালে গলার টনছিলের অপারেশন করতে আমরাইদ নিউ পপুলার হাসপাতালে আসেন আলমগীর। কিন্তু অপারেশনের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । এ ঘটনার পর স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে বাড়িতে গেলে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. মামুনুর রহমান বলেন, ‘এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত । এই ঘটনা তদন্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ শরফুদ্দিন আহমুদ, ডাঃ কাওছার আহমেদ ও ডাঃ কিবরিয়া কবির এই তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছি। উপজেলা প্রশাসন, আমি ও তদন্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উক্ত নাক কান গলা বিশেষজ্ঞ (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) ডাক্তার এ টি এম ফয়সাল রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, টনসিল অপারেশন করতে গিয়ে ডাক্তার আলমগীর হোসেনের শ্বাসনালী কেটে ফেলে। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। চিকিৎসকের খামখেয়ালি ও ভুল চিকিৎসার কারণে আলমগীর মারা গেছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, ‘মরদেহ নিয়ে স্বজনরা বিক্ষোভ করলে আমরা পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন পর্যন্ত মৃতের স্বজনরা থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, আলমগীর কয়েক মাস আগে দুবাই থেকে দেশে এসে স্থানীয় বেলতলী বাজারে বাবার সাথে কাঁচামালের ব্যবসা শুরু করেন। ৫ ভাই এর মধ্যে সে সবার বড়। তাঁর ২ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান রয়েছে এবং স্ত্রী ৪ মাসের অন্তস্বত্বা। আলমগীর হোসেনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।