কাপাসিয়ায় চায়নিজ কুড়াল ও চাপাতিসহ ৯ জন আটক
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুরের কাপাসিয়া টিক টক করতে এসে চায়নিজ কুড়াল ও চাপাতিসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের মরিয়ম ভিলেজ এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়। তবে কি কারনে চাইনিজ কুড়াল ও চাপাতি নিয়ে এসেছে তার কোন সঠিক তথ্য জানা যায়নি।
আটকৃতরা হলেন আরিফ ফকির (১৮) নরসিংদী জেলা শিবপুর থানার দত্তেরগাঁও গ্রামে মানিক ফকির ছেলে। একই এলাকার আছাদ খানের ছেলে তৈয়ব খান (১৮), রাসেল মৃতর ছেলে আকাশ (১৫), একই থানার ছৈত্তশি গ্রামের নাছির উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (১৫), বিল্লাল মৃতর ছেলে হাসান (১৮), বাবুলের ছেলে মো. নাজমুল (১৮), মোশাররফের ছেলে মোয়াজ (১৩) ও সাদেকের ছেলে রফিকুল (১৬) এবং শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট এলাকার বাবুল ফকিরের ছেলে সাগর (১৬) তারা সবাই কাপাসিয়া থানায় পুলিশ শাহাজাতে রয়েছে।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমরা প্রথমে দেখি তারা একটি অটো রিক্সা করে এখানে এসে নামে। নামার পরে তাদের মধ্য থেকে একজন রিক্সা চালককে সিগারেট আনার জন্য পাঠায়। পরে তাদের মধ্যে থাকা আরেকটি ছেলে রিক্সার সিটের নিচ থেকে একটি চাপাতি ও একটি চাইনিজ কুড়াল বের করে। তা দেখে আমাদের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা টিক টক ভিডিও করার জন্য এসেছে বলে জানায়। চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল কেন এনেছে তার কোন সঠিক উত্তর তারা দিতে পারেননি।
এলাকাবাসী আরো জানান, এই এলাকায় এর আগে এই টিকটক এর ঘটনা নিয়ে তিনজন খুন হয়েছিল এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। আজকে (গতকাল) তারা চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল নিয়ে এসে সেই আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমাদের মনে হচ্ছে আজকের ঘটনার সাথে আগের তিনজন খুন হওয়ার কোন যোগসূত্র থাকতে পারে।
আটককৃত আকাশ জানান, এই চাইনিজ কুড়াল সে অটো রিকশার সিটের নিচে পেয়েছে।
অটোচালক মো. আ. রহিম জানায় আকাশ তার ব্যাগ থেকে অটোর রিক্সার সিটের উপর চাপাতি ও চাইনিজ কুড়াল বের করে রাখে। পরে আমি সিগারেট আনার জন্য দোকানে চলে যাই।
কাপাসিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম জানান, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। গঠনস্থল থেকে ৯ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদের অনেকেরই বয়স ১৮ বছরের কম। ওই এলাকাটি ছবি তোলার জন্য একটি সুন্দর জায়গা থাকায় তারা ছবি উঠানোর জন্য এসে থাকতে পারে। যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টিকটক ভিডিওর একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনজন খুন হওয়ার ঘটনার সাথে এর কোন যোগসূত্র প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে তদন্ত শেষে বুঝা যাবে কি ঘটেছিল।