এক যুবক একই সঙ্গে দুই তরুণীর সঙ্গে প্রেম করতেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দুই প্রেমিকার কেউই প্রেমিক ওই যুবককে ছাড়তে রাজি হননি। তারা দুজনেই বিয়ে করতে চান তাকে। আর শেষমেষ গ্রামের পঞ্চায়েত দুই তরুণীর কে ওই তরুণকে বিয়ে করবেন সেটি নির্ধারণ করে কয়েন বা মুদ্রার টসের মাধ্যমে। ভারতের কর্ণাটকের হাসান জেলার সাকলেশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়াটাইমস এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি যেন বলিউডের সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। গত বছর পাশের গ্রামের ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের সঙ্গে ২০ বছরের এক তরুণীর ধাক্কা লাগে এরপরই দুজনের প্রেমের সম্পর্কের শুরু। কিন্তু এর ছয় মাস আগেই ওই যুবকের সঙ্গে অপর এক গ্রামের আরেক তরুণীর ধাক্কা লেগে প্রেম শুরু হয়েছিল। এরপর থেকে সে লুকিয়ে দুজনের সঙ্গেই প্রেম চালিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু কোনো প্রেমিকাই বিষয়টি টের পাননি।
এর মধ্যেই, ওই তরুণকে তার এক আত্মীয় এক প্রেমিকার সঙ্গে দেখে ফেলেন। তিনি তরুণের বাসায় বিষয়টি জানালে তার পরিবারের সদস্যরা ওই সম্পর্ক মেনে নেয় না। পরিবারের লোকজন তাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চান। এ খবর পেয়ে দুই প্রেমিকার বাড়ির সদস্যরাই ওই তরুণের বাড়িতে আসে। তখনই বিষয়টি জানাজানি হয়। শেষপর্যন্ত বিষয়টি মীমাংসা করতে গ্রামের পঞ্চায়েতদের ডাকা হয়। পঞ্চায়েতের সদস্যরা ওই তরুণকে জিজ্ঞাসা করেন তিনি কাকে বিয়ে করতে চান। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকেন। এরই মধ্যে ওই তরুণের এক প্রেমিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। অবশ্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ওই তরুণী সুস্থ হওয়ার পর ফের গ্রামের পঞ্চায়েতের সদস্যরা বিষয়টি মীমাংসা করতে একত্রিত হন।
পঞ্চায়েতের সদস্যরা জানান, টসের মাধ্যমে ওই তরুণের কনে ঠিক করা হবে। তিন পরিবারই এ ব্যাপারে সম্মত হলে টস করেই ওই তরুণের কনে নির্ধারণ করা হয়। টস করে নির্ধারণ করা কনের সঙ্গেই শেষপর্যন্ত ওই তরুণের বিয়ে হয়েছে।