অধ্যাপক শামসুল হুদা লিটনঃ বর্ষা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। অথচ গত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে পানি বাড়ার সাথে সাথেই শীতলক্ষ্যা নদী ভরে গেছে কচুরিপানায়। কাপাসিয়ার টোক থেকে ঘোড়াশাল- কাঞ্চন – নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর পানিতে শুধুই কচুরিপানা আর কচুরিপানা। শীতলক্ষ্যা যেনো কচুরিপানায় ঠাসা। এ যেন নদীর বুকে কচুরিপানার জন্মনিয়ন্ত্রণহীন এক বিশাল সংসার। নদীর সাথে সংযুক্ত খাল-বিল-ডোবা -নালায়ও অবাধে ঢুকে পড়েছে কচুরিপানা।
হঠাৎ কচুরিপানা বেড়ে যাওয়ায় শীতলক্ষ্যা নদীতে নৌচলাচল দারুণ ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। মালবাহী ও যাত্রীবাহী নৌকাগুলো কচুরিপানায় আটকে যাচ্ছে। যন্ত্রচালিত নৌকার পাখায় কচুরিপানা আটকে মাঝ নদীতে বন্ধ হয়ে যায় নৌকা। প্রতিদিনই নদীর পানিতে নেমে পাখায় আটকে যাওয়া কচুরিপানা পরিষ্কার করতে হচ্ছে মাঝিদের। আনেক কষ্টে যাত্রী পারাপার করতে হছে ফেরি নৌকার মাঝিদের। নৌপথে চলাচল এখন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
কাপাসিয়া- নরসিংদী অঞ্চল মৌসুমী ফলের জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে চলছে আম, লিচুর ভরা মৌসুম। সেই আদিকাল থেকেই লঞ্চ, নৌকায় করে কাপাসিয়ার লিচু শীতলক্ষ্যা নদী পথে যায় ঢাকার বাদামতলী, নারায়নগঞ্জের আড়ৎগুলিতে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত কচুরিপানার কারণে নৌপথে মালামাল পরিবহন করা এবছর অসম্ভব হয়ে পড়েছে।