আশিকুর রহমানঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে দেদারসে চলছে অবৈধ দুইটি ইট ভাটা। শুধু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নয় অবৈধ ইট ভাটা দুটির আশেপাশে এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ, ভৃঙ্গরাজ তালেবাবাদ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদরাসা। সরেজমিনে দেখাযায়, কালিয়াকৈর উপজেলার ভূঙ্গাবাড়ী ও শ্রীফলতলি এলাকার সোনাখালী রেল ক্রসিং এর দুই পাশের দুই ফসলি জমিতে গড়ে উঠেছে মেসার্স পদ্মা ব্রিকস মেনুফেক্সারার এবং মেসার্স কোনাবাড়ি ব্রিকস নামের অনুমোদনহীন অবৈধ দুটি ইট ভাটা।
দুইটি ইট ভাটার এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুইটি কলেজ, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারি বেসরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
এসব ভাটার কালো ধোঁয়ায় আশপাশের প্রকৃতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। ভাটা দুটির নিকটেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা। ইট ভাটার বিষাক্ত ধোয়া নির্গত হয়ে বাতাসের সাথে মিশে একদিকে দূষিত করছে আশেপাশে পরিবেশ। অন্যদিকে ওই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু কিশোর ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থাকা রোগীদের নিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলছে।
স্থানীয় এক ব্যাক্তি আব্দুর রহমান জানান, ইট ভাটার কালো ধোঁয়া আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করছে। আমাদের নিশ্বাস প্রশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়। ওই এলাকার এক কৃষক মজিদ মিয়া জানান, দুইটি ইট ভাটার কারণে আমাদের ফসল উৎপাদন কমে গেছে। জমিতে ফসল হয় না। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি দ্রুত ইট ভাটা বন্ধ করা হক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মা ব্রিকসের মালিক আকতার হোসেন জানান, আমাদের কোন অনুমোদন নেই পরিবেশের ছাড় পত্রও নেই। এভাবেই চালানো হচ্ছে ইট ভাটা। কোনাবাড়ি ব্রিকসের মালিক বাবুল মিয়া জানান, আমাদের ডিসি লাইসেন্স আছে কিন্তু মেয়াদ নেই। আর পরিবেশের ছাড় পত্র নেই। এভাবেই সিস্টেম করে চালানো হচ্ছে।
সূত্রে জানাগেছে, কালিয়াকৈর উপজেলায় মোট ১৪ টি অবৈধ ও অনুমোদনহীন ইট ভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি ইট ভাটায় ইতিমধ্যে গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্ধ করা হলেও বাকী গুলোতে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আব্দুস সালাম সরকার জানান, অবৈধ ইট ভাটা গুলোতে দ্রুত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।