আশিকুর রহমানঃ করোনাভাইরাসের সংক্রম রোধে এবছর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে নতুন পাঠ্য বই বিতরণে নেয়া হয়েছে বিকল্প পদ্ধতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল থেকে শিক্ষার্থীদের বই সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরেও এবার নেয়া হয়েছে বিকল্প পদ্ধতি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই ধাপে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্য বই তুলে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা অফিস।
সূত্রে জানাগেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এবছর ৮৯ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ লাখ ৭৮ হাজার তিনশত নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হচ্ছে। নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলার সবকয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আলাদা আলাদা ক্লাস ও রোল নাম্বার অনুসারে নতুন পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ কার্যক্রম পালন করছেন। কচিকাঁচা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়েও মাঠ পর্যায়ে কড়া মনিটরিং করছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এবছর ৮৯ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ শত নতুন পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম।
কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম জানিয়েছেন, এবছর করোনা মহামারির কারণে বই বিতরণে কোন উৎসব মুখর পরিবেশ থাকছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শিক্ষকদের। ছোট শিশুদের সাথে অভিভাবকের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। অভিভাবকেরা সাথে থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বই সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী হাফিজুল আমীন জানান, করোনার কারণে সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে শ্রেণি ও রোল নাম্বার অনুযায়ী ধাপে ধাপে বই বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার বিষয়ে আমরা সর্বক্ষণ মনিটরিং করছি।