Breaking News
Home / সারাদেশ / কালিয়াকৈর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবলের সংকট,

কালিয়াকৈর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জনবলের সংকট,

আশিকুর রহমান, কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ  জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকটে দীর্ঘদিন ধরে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। অকেজো যন্ত্রাংশ ও পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কালিয়াকৈরের সাধারণ জনগণ। ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র আট জন ডাক্তার ও কর্মচারী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সনে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলি এলাকায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মান করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ২০১২ সনে আরও ১৯ শয্যা বৃদ্ধি করে মোট ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। তবে পর্যাপ্ত জনবল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ব্যবস্থা না করায় বেহাল অবস্থায় চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতে ২০ জন চিকিৎসক ও কর্মচারীর হাজিরা থাকার কথা থাকলেও মাত্র আট জন চিকিৎসক ও কর্মচারী দিয়ে চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর মধ্যে জুনিয়র কনসালটেন্ট(সার্জারি), মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার কালিয়াকৈর বাজার, সহকারী সার্জন চাপাইর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ৪ জন চিকিৎসকের পদই শূন্য রয়েছে। ৬ জন চিকিৎসক প্রেষণে আছেন। তারা হলেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জারি) ডা. সঞ্চিতা ভৌমিক, চাবাগান উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এমও ডা. গাজী মাহাবুব রহমান, এমও (ইউনানি) ডা. ইসরাত জাহান, সহকারী সার্জন ডা. তাসনুভা জাহান, সহকারী সার্জন ডা. শরিফুন নাহার, সহকারী সার্জন ডা. আ ন ম মাইনুল কুদ্দুস। এছাড়া জুনিয়র কনসালটেন্ট এ্যানেসঃ ডা. এম এম আব্দুল ওয়াদুদ ও এমও ডা. আবুল খায়ের সালাউদ্দিন ভুঁইয়া দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত আছেন। ওই দু’জনের নামে বিভাগীয় মামলা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৮ চিকিৎসক দিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে এ হাসপাতালের কার্যক্রম। এদের মধ্যেও আবার ডে অফ, ছুটি, ট্রেনিং ও রাত দুপুরের ডিউটিতে থাকেন। অতি অল্প চিকিৎসক আর যন্ত্রাংশের সল্পতা থাকায় রোগীদের চিকিৎসা অনেকটাই দূর্বল হয়ে পড়ছে। তাই প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়ে থাকতে হয় রোগীদের।

কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ৫০ শয্যা হলেও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই চলছে হাসপাতালটি। এরমধ্যে ৪টি পদ শূন্য, ৬ জন প্রেষণে, ২ জন অনুনোমদিত অনুপস্থিত রয়েছে। তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৮ চিকিৎসক দিয়ে ৫০ শয্যার হাসপাতাল চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ঠিকমতো হাসপাতালে না আসায় আবাসিক মেডিকেল অফিসারকে (আরএমও) শোকজ করা হয়েছে।

About admin

Check Also

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের হবিগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন

শামসুল হুদা লিটনঃ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বামাশিকফো) এর হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published.